গাজওয়াতুল হিন্দ ও ইমাম মাহমুদ

Untitled-2

ইলহামী ভবিষ্যৎবানী

আখীরুজ্জামান বিশ্লেষণ

পর্বভিত্তিক আলোচনা

সত্যের সৈনিক এর লেখাগুলি

Post Page Advertisement [Top]

শাহ্‌ নিয়ামাতুল্লাহ এর কাসিদা বা কাসিদায় সউগাত ব্যাখ্যা ছাড়া (ইলহামী ভবিষ্যৎবাণী)

kasida+bakkha+chara


ক্বাসীদাহ বা কাসিদায় সউগাত


লেখক শাহ নিয়ামতউল্লাহ-এর পরিচয় ও কাসীদাহ এর সারমর্ম

কাসীদায়ে শাহ্ নিয়ামতউল্লাহ- বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী সম্বলিত এক কাশফ ও ইলহামের কাসীদা। জগদ্বিখ্যাত ওলীয়ে কামেল হযরত শাহ নিয়ামতউল্লাহ (র) আজ থেকে ৮৫২ বছর পূর্বে হিজরী ৫৪৮ সাল মুতাবিক ১১৫২ খ্রিস্টাব্দে রচনা করেন এ কাসীদা। কালে কালে তাঁর এ কাসীদার এক-একটি ভবিষ্যদ্বাণী ফলে গেছে আশ্চর্যজনকভাবে। মুসলিম জাতি বিভিন্ন দুর্যোগকালে এ কাসীদা পাঠ করে ফিরে পেয়েছে তাদের হারানো প্রাণশক্তি, উদ্দীপিত হয়ে ওঠেছে নতুন আশায়। ইংরেজ শাসনের ক্রান্তিকালে এ কাসীদা মুসলমানদের মধ্যে মহাআলোড়ন সৃষ্টি করে। এর অসাধারণ প্রভাব লক্ষ্য করে ব্রিটিশ বড়লাট লর্ড কার্জনের শাসনামলে (১৮৯৯-১৯০৫) এ কাসীদা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ফারসী ভাষায় রচিত হযরত শাহ নিয়ামতউল্লাহ (র)-এর এ সুদীর্ঘ কবিতায় ভারত উপমহাদেশ তথা সমগ্র বিশ্বের ঘটিতব্য বিষয় সম্পর্কে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। আল্লাহর অনেক প্রিয় বান্দাগণ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবের বিষয় সম্পর্কে ইলহাম পেয়ে থাকেনমনে রাখতে হবে যে, কোন সৃষ্টি জীবের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই যে, সে ইচ্ছা করলেই গায়েবের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারেবরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে এই জ্ঞান দান করে থাকেনউপমহাদেশের ইলমী জনক শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহঃ তার ইলহামী ইলম দিয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ সাওয়াতিউল ইলহাম রচনা করেনঅনুরূপ হযরত শাহ নেয়ামতউল্লাহ রহঃ তার ইলহামী জ্ঞানের কিছু অংশ একটি কবিতায় প্রকাশ করেছেনএটি লিখার পর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিটি ভবিষ্যৎবাণী হুবহু মিলে গিয়েছেকবিতার ৩৭ নং প্যারা থেকে বিশেষভাবে খেয়াল করুনকারণ এর পূর্বের লাইনগুলো অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাওয়ায় শুধুমাত্র বর্তমান ভবিষতে কি ঘটতে পারে এটাই আমাদের দেখার বিষয়কিছুটা দীর্ঘ হলেও ধৈর্য সহকারে পড়লেগাজওয়াতুল হিন্দসম্পর্কে একটি ভাল ধারণা পাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ
আমাদের দূর্ভাগ্যই বলা চলে, পাকিস্তানি মুসলিম ভাইদের মাঝে কাসীদাগুলো বেশ পরিচিত, প্রসিদ্ধ এবং সমাদৃত অথচ বাংলাদেশে এ সম্পর্কে আমাদের কোনো জ্ঞানই নেই। কবিতাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত “কাসিদায়ে সাওগাত” বইতে পাবেন। এই ছাড়াও মদিনা পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত “মুসলিম পুনঃজাগরণ প্রসঙ্গ ইমাম মাহদি” বইতেও পাবেন। মাহমুদ প্রকাশনী থেকেও এটি বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় “শাহ্‌ নেয়ামতুল্লাহ রহঃ এর ভবিষ্যৎবাণী” নামে। আর যারা উর্দু বুঝেন তারা এই নিয়ে ৮ পর্বের সিরিজ আলোচনা শুনতে পারেন, পাকিস্তানী বিশেষজ্ঞ জায়েদ হামিদ খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা সহকারে উনার সকল ভবিষ্যৎবাণী (ইলহাম) তুলে ধরেছেন। বাংলা ভাষায় রুহুল আমীন খান অনূদিত শাহ নিয়ামতুল্লাহ রহঃ এর একটি কবিতা ১৯৭০/৭১ এর দিকে এদেশে প্রকাশিত হয়েছিল। নিম্নে এ কাসীদার সারমর্ম প্রদত্ত হলো।

ভারতীয় উপমহাদেশেঃ
১. এখানে তুর্কী মুঘলদের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হবে, ২. তাদের পতনের পর প্রতিষ্ঠিত হবে ভিনদেশী খ্রিস্টানদের রাজত্ব, ৩. তাদের শাসনকালে মহামারী আকারে প্লেগ এবং চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে এবং এতে বহু প্রাণহানি ঘটবে, ৪. দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরে ইংরেজরা ভারত উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যাবে কিন্তু এখানে অঞ্চলে-অঞ্চলে, সম্প্রদায়ে-সম্প্রদায়ে স্থায়ী শত্রুতার বীজ বপন করে যাবে, ৫. ভারত বিভক্ত হয়ে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হবে, ৬. অযোগ্য লোকেরা শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে, ৭. মানুষের আইন-কানুনের প্রতি কোন শ্রদ্ধা থাকবে না, ঘুষ, দুর্নীতি, অশ্লীলতা, জেনা, ব্যাভিচার, অরাজকতার সয়লাব সৃষ্টি হবে (উপরোক্ত ভবিষ্যদ্বাণীগুলো ইতোমধ্যে হুবহু বাস্তবায়িত হয়েছে)।
৮. মুসলমানদের উপর বিধর্মীরা মহা যুলম ও অত্যচার চালাবে, তাদের জানমালের কোন মূল্য থাকবে না, তাদের রক্তের সাগর বয়ে যাবে, ঘরে ঘরে কারবালার মত আহাজারী সৃষ্টি হবে, ৯. এরপর পাঞ্জাবের প্রাণকেন্দ্র মুসলমানদের দখলে আসবে, হিন্দুরা সেখান থেকে পালিয়ে যাবে, ১০. অনুরূপ হিন্দুরা মুসলমানদের একটি বৃহৎ শহর দখল করে নিয়ে পাইকারীভাবে মুসলিম নিধন চালাবে, ১১. নামধারী এক মুসলিম নেতা এক জঘন্য চুক্তি স্থাপন করে হিন্দুদের সাহায্য করবে, ১২. এরপর দুই ঈদের মধ্যবর্তী এক সময়ে বিশ্ব জনমত হিন্দুদের বিপক্ষে চলে যাবে, ১৩. মুহররম মাসে মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বীর বিক্রমে অগ্রসর হবে, ১৪. সাহেবে কিরান ও হাবীবুল্লাহ নামের দুই মহান নেতা মুসলিম ফৌজের নেতৃত্বে দিয়ে প্রচণ্ড লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পরবে, ১৫. সীমান্তের মুসলিম বীরগণ বীরদর্পে ভারতের দিকে অগ্রসর হবে, ১৬. ওদিকে ইরানী, আফগান ও দক্ষিণা সেনাগণও সম্মিলিতভাবে আক্রমণ করে সমগ্র ভারতবর্ষ বিজয় করে বিজয় ঝাণ্ডা উড্ডীন করবে, ১৭. উপমহাদেশব্যাপী ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, ১৮. কোথাও দীন-ঈমান বিরোধী কোন তৎপরতা আর অবশিষ্ট থাকবে না, ১৯. ছয় অক্ষরবিশিষ্ট নাম যার প্রথম অক্ষরগাফএমন এক সুবিখ্যাত হিন্দু বণিক ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম পক্ষে যোগদান করবে।


আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেঃ
১. রাশিয়া ও জাপানে প্রচণ্ড লড়াই হবে, ২. অবশেষে তাদের মধ্যে সন্ধি হবে কিন্তু তা স্থায়ী হবে না, ৩. জাপানে ভয়াবহ এক ভূমিকম্প হবে, ৪. ইউরোপে চার বছর ব্যাপী এক মহাযুদ্ধ হবে (প্রথম মহাযুদ্ধ)। এতে এক কোটি ত্রিশ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটবে, ৫. প্রথম মহাযুদ্ধের ২১ বছর পর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হবে, ৬. এর এক পক্ষে থাকবে ইংল্যাণ্ড, আমেরিকা, চীন ও রাশিয়া, অপর পক্ষে থাকবে জার্মান, জাপান ও ইটালী, ৭. বিজ্ঞানীগণ এ যুদ্ধে অতি ভয়াবহ আণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে, ৮. প্রাচ্যে বসে পাশ্চাত্যের কথা ও সঙ্গীত শ্রবণের যন্ত্র আবিষ্কৃত হবে, ৯. দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ ছয় বছর স্থায়ী হবে এতে জানমালের অপরিমেয় ক্ষয়ক্ষতি হবে, ১০, দুনিয়াব্যপী যুলম-অত্যাচার, নগ্নতা, অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়বে (উপরোক্ত ভবিষ্যৎবাণীসমূহ ইতোমধ্যে হুবহু বাস্তবায়িত হয়েছে)।
১১. পাশ্চাত্যের দাম্ভিক ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতার মদে মত্ত হয়ে সারা দুনিয়ায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তার চরম পরিণতি ভোগ থেকে তাদের নিস্তার নেই, ১২. তৃতীয় মহাযুদ্ধ সংঘটিত হয়ে পাশ্চাত্য সভ্যতা চিরদিনের জন্য ধ্বংস হয়ে যাবে। আলিফ অদ্যাক্ষরের দেশের (ইংল্যাণ্ড বা আমেরিকা হতে পারে) কোন চিহ্ন থাকবে না। কেবল ইতিহাসেই তার নাম অবশিষ্ট থাকবে, ১৩. খ্রিস্টশক্তির চূড়ান্ত পতন সাধিত হবে। তারা আর কোনদীন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না১৪. এ সময় দুনিয়ার বুকে আবির্ভূত হবেন হযরত মাহদী।


আলোচিত মহা আলোড়ন সৃষ্টিকারী এবং যুগে যুগে ফলে যাওয়া ভবিষ্যৎবাণীসমূহঃ

·       ভারতবর্ষ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী।
·       প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
·       দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
·       দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী
·       হিন্দু কতৃক বাংলাদেশ দখল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
·       আমাদের দেশের একজন মুনাফিক নেতার নামের প্রথম ও শেষ অক্ষর সহ ভবিষ্যদ্বাণী যে কিনা এদেশকে মুশরিকদের হাতে তুলে দিতে সাহায্য করবে
·       তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ এবং মানচিত্র থেকে আমেরিকা/ইংল্যান্ডের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী
·       ইমাম মাহদী এর আগমনের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী



পিডিএফ বই আকারে ডাউনলোড করতে-


(গুগল ড্রাইভ) ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://drive.google.com/file/d/14jEWs8nJoFJjWqS-7Tx_DTNzdsHuxmfH/view
(ওয়েবসাইট) ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://jihadinur.ga/files/Kasida%20Shah%20Niamatullah.pdf

(গুগল ড্রাইভ) কাসিদা ও আগামী কথন একসাথে ডাউনলোডঃ https://drive.google.com/file/d/1-L5TWCqbkXiFNmUSrrrLkJceQ4GurtOV/view
(ওয়েবসাইট) কাসিদা ও আগামী কথন একসাথে ডাউনলোডঃ https://jihadinur.ga/files/2ti%20ilhami%20vobissotbani.pdf

ফেসবুক থেকে পড়তে চাইলে-

কাসিদা বা কাসিদায় সউগাত, (ইলহামি ভবিষ্যৎবাণী)ঃ https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/113222833450771




বাংলা ব্যাখ্যা ছাড়া এটি নিম্নে দেয়া হলো

(১)
পশ্চাতে রেখে এই ভারতের অতীত কাহিনী যত
আগামী দিনের সংবাদ কিছু বলে যাই অবিরত
(২)
দ্বিতীয় দাওরে হুকুমত হবে তুর্কী মুঘলদের
কিন্তু শাসন হইবে তাদের অবিচার যুলুমের
(৩)
ভোগে ও বিলাসে আমোদে-প্রমোদে মত্ত থাকিবে তারা
হারিয়ে ফেলিবে স্বকীয় মহিমা তুর্কী স্বভাব ধারা
(৪)
তাদের হারায়ে ভিন দেশী হবে শাসন দণ্ডধারী
জাকিয়া বসিবে, নিজ নামে তারা মুদ্রা করিবে জারি
(৫)
এরপর হবে রাশিয়া জাপানে ঘোরতর এক রণ
রুশকে হারিয়ে এ রণে বিজয়ী হইবে জাপানীগণ
(৬)
শেষে দেশ-সীমা নিবে ঠিক করে মিলিয়া উভয় দল
চুক্তিও হবে কিন্তু তাদের অন্তরে রবে ছল
(৭)
ভারতে তখন দেখা দিবে প্লেগ আকালিক দুর্যোগ
মারা যাবে তাতে বহু মুসলিম হবে মহাদুর্ভোগ
(৮)
এরপর পরই ভয়াবহ এক ভূকম্পনের ফলে
জাপানের এক তৃতীয় অংশ যাবে হায় রসাতলে
(৯)
পশ্চিমে চার সালব্যাপী ঘোরতর মহারণ
প্রতারণা বলে হারাবে এ রণে জীমকে আলিফগণ
(১০)
এ সমর হবে বহু দেশ জুড়ে অতীব ভয়ঙ্কর
নিহত হইবে এতে এক কোটি ত্রিশ লাখ নারী-নর
(১১)
অতঃপর হবে রণ বন্ধের চুক্তি উভয় দেশে
কিন্তু তা হবে ক্ষণভঙ্গুর টিকিবে না অবশেষে
(১২)
নিরবে চলিবে মহাসমরের প্রস্তুতি বেশুমার
জীম ও আলিফে লড়াই ঘটিবে বারংবার
(১৩)
চীন ও জাপানে দু’দেশ যখন লিপ্ত থাকিবে রণে
নাসারা তখন রণ প্রস্তুতি চালাবে সঙ্গোপনে
(১৪)
প্রথম মহাসমরের শেষে একুশ বছর পর
শুরু হবে ফের আরো ভয়াবহ দ্বিতীয় সমর
(১৫)
হিন্দ বাসী এই সমরে যদিও সহায়তা দিয়ে যাবে
তার থেকে তারা প্রার্থিত কোন সুফল নাহিকো পাবে
(১৬)
বিজ্ঞানীগণ এ লড়াইকালে অতিশয় আধুনিক
করিবে তৈয়ার অতি ভয়াবহ হাতিয়ার আনবিক
(১৭)
গায়েবী ধ্বনির যন্ত্র বানাবে নিকটে আসিবে দূর
প্রাচ্যে বসেও শুনিতে পাইবে প্রতীচীর গান সুর
(১৮)
মিলিত হইয়া “প্রথম আলিফ” “দ্বিতীয় আলিফ” দ্বয়
গড়িয়া তুলিবে রুশ চীন সাথে আতাত সুনিশ্চয়
(১৯)
ঝাপিয়ে পড়িবে “তৃতীয় আলিফ” এবং দু জীম ঘাড়ে
ছুড়িয়া মারিবে গজবী পাহাড় আনবিক হাতিয়ারে
অতি ভয়াবহ নিষ্ঠুরতম ধ্বংসযজ্ঞ শেষে
প্রতারণা বলে প্রথম পক্ষ দাড়াবে বিজয়ী বেশে 
(২০)
জগৎ জুড়িয়া ছয় সাল ব্যাপী এই রণে ভয়াবহ
হালাক হইবে অগণিত লোক ধন ও সম্পদসহ
(২১)
মহাধ্বংসের এ মহাসমর অবসানে অবশেষে
নাসারা শাসক ভারত ছাড়িয়া চলে যাবে নিজ দেশে
কিন্তু তাহারা চিরকাল তরে এদেশবাসীর মনে
মহাক্ষতিকর বিষাক্ত বীজ বুনে যাবে সেই সনে
(২২)
ভারত ভাঙ্গিয়া হইবে দু’ভাগ শঠতায় নেতাদের
মহাদূর্ভোগ দূর্দশা হবে দু’দেশেরই মানুষের
(২৩)
মুকুটবিহীন নাদান বাদশা পাইবে শাসনভার
কানুন ও তার ফর্মান হবে আজেবাজে একছার
(২৪)
দুর্নীতি ঘুষ কাজে অবহেলা নীতিহীনতার ফলে
শাহী ফর্মান হবে পয়মাল দেশ যাবে রসাতলে
(২৫)
হায় আফসোস করিবেন যত আলেম ও জ্ঞানীগণ
মূর্খ বেকুফ নাদান লোকেরা করিবে আস্ফালন।
(২৬)
পেয়ারা নবীর উম্মতগণ ভুলিবে আপন শান
ঘোরতর পাপ পঙ্কিলতায় ডুবিবে মুসলমান
(২৭)
কালের চক্রে স্নেহ-তমীজের ঘটিবে যে অবসান
লুণ্ঠিত হবে মানী লোকদের ইজ্জত সম্মান
(২৮)
উঠিয়া যাইবে বাছ ও বিচার হালাল ও হারামের
লজ্জা রবে না, লুণ্ঠিত হবে ইজ্জত নারীদের
(২৯)
পশুর অধম হইবে তাহারা ভাই-বোনে, মা-বেটায়
জেনা ব্যাভিচারে হইবে লিপ্ত পিতা আর কন্যায়
(৩০)
নগ্নতা আর অশ্লীলতায় ভরে যাবে সব গেহ
নারীরা উপরে সেজে রবে সতী ভেতরে বেচিবে দেহ
(৩১)
উপরে সাধুর লেবাস ভেতরে পাপের বেসাতি পুরা
নারী দেহ নিয়ে চালাবে ব্যবসা ইবলিস বন্ধুরা
(৩২)
নামায ও রোজা, হজ্জ্ব যাকাতের কমে যাবে আগ্রহ
ধর্মের কাজ মনে হবে বোঝা দারুন দূর্বিষহ
(৩৩)
কলিজার খুন পান করে বলি শোন হে বৎসগণ
খোদার ওয়াস্তে ভুলে যাও সব নাসারার আচরণ
(৩৪)
পশ্চিমা ঐ অশ্লীলতা ও নগ্নতা বেহায়ামি
ডোবাবে তোদের, খোদার কঠোর গজব আসিবে নামি
(৩৫)
ধ্বংস নিহত হবে মুসলিম বিধর্মীদের হাতে
হবে নাজেহাল, ছেড়ে যাবে দেশ ভাসিবে রক্তপাতে
(৩৬)
মুসলমানের জান-মাল হবে খেলনা মুল্যহত
রক্ত তাদের প্রবাহিত হবে সাগর স্রোতের মত
(৩৭)
এরপর যাবে ভেগে নারকীরা পাঞ্জাব কেন্দ্রের
ধন সম্পদ আসিবে তাদের দখলে মুমিনদের
(৩৮)
অনুরূপ হবে পতন একটি শহর মুমিনদের
তাহাদের ধনসম্পদ যাবে দখলে হিন্দুদের
(৩৯)
হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ সেখানে চালাইবে তারা ভারি
ঘরে ঘরে হবে ঘোর কারবালা ক্রন্দন আহাজারি
(৪০)
মুসলিম নেতা অথচ বন্ধু কাফেরের তলে তলে
মদদ করিবে অরি কে সে এক পাপ চুক্তির ছলে
(৪১)
প্রথম অক্ষরে থাকিবে শীনে’র অবস্থান
শেষের অক্ষরে থাকিবে নূন ও বিরাজমান
ঘটিবে তখন এসব ঘটনা মাঝখানে দু’ঈদের
ধিক্কার দিবে বিশ্বের লোক জালিম হিন্দুদের
(৪২)
মহরম মাসে হাতিয়ার হাতে পাইবে মুমিনগণ
ঝঞ্ঝার বেগে করিবে তাহারা পাল্টা আক্রমণ
(৪৩)
সৃষ্টি হইবে ভারত ব্যাপিয়া প্রচণ্ড আলোড়ন
“উসমান” এসে নিবে জিহাদের বজ্র কঠিন পণ
(৪৪)
সাহেবে কিরান “হাবীবুল্লাহ” হাতে নিয়ে শমসের
খোদায়ী মদদে ঝাপিয়ে পড়িবে ময়দানে যুদ্ধে
(৪৫)
কাপিবে মেদিনী সীমান্ত বীর গাজীদের পদভারে
ভারতের পানে আগাইবে তারা মহারণ হুঙ্কারে 
(৪৬)
পঙ্গপালের মত ধেয়ে এসে এসব “গাজীয়ে দ্বীন”
যুদ্ধে জিতিয়া বিজয় ঝাণ্ডা করিবেন উড্ডিন
(৪৭)
মিলে এক সাথে দক্ষিণী ফৌজ ইরানী ও আফগান
বিজয় করিয়া কবজায় পুরা আনিবে হিন্দুস্তান
(৪৮)
বরবাদ করে দেয়া হবে দ্বীন ঈমানের দুশমন
অঝোর ধারায় হবে আল্লাহ’র রহমাত বরিষান
(৪৯)
দ্বীনের বৈরী আছিল শুরুতে ছয় হরফেতে নাম
প্রথম হরফ গাফ সে কবুল করিবে দ্বীন ইসলাম
(৫০)
আল্লাহ’র খাস রহমাতে হবে মুমিনেরা খোশদিল
হিন্দু রসুম রেওয়াজ এ ভূমে থাকিবে না এক তিল
(৫১)
ভারতের মত পশ্চিমাদেরও ঘটিবে বিপর্যয়
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে ঘটাইবে মহালয়
(৫২)
এ রণে হবে “আলিফ” এরূপ পয়মাল মিসমার
মুছে যাবে দেশ, ইতিহাসে শুধু নামটি থাকিবে তার
(৫৩)
যত অপরাধ তিল তিল করে জমেছে খাতায় তার
শাস্তি উহার ভুগতেই হবে নাই নাই নিস্তার
কুদরতী হাতে কঠিন দণ্ড দেয়া হবে তাহাদের
ধরা বুকে শির তুলিয়া নাসারা দাড়াবে না কভু ফের
(৫৪)
যেই বেঈমান দুনিয়া ধ্বংস করিল আপন কামে
নিপাতিত শেষ কালে সে নিজেই জাহান্নামে
(৫৫)
রহস্যভেদী যে রতন হার গাথিলাম আমি তা, যে
গায়েবী মদদ লভিতে, আসিবে উস্তাদসম কাজে।
(৫৬)
অতি সত্বর যদি আল্লাহ’র মদদ পাইতে চাও
তাহার হুকুম তালিমের কাজে নিজেকে বিলিয়ে দাও
(৫৭)
“কানা জাহুকার” প্রকাশ ঘটার সালেই প্রতিশ্রুত
ইমাম মাহদি দুনিয়ার বুকে হবেন আবির্ভূত
(৫৮)
চুপ হয়ে যাও ওহে নেয়ামত এগিও না মোটে আর, ফাঁস করিও না খোদার গায়বী রহস্য আসরার
এ কাসিদা বলা করিলাম শেষ “কুনুত কানয” সালে, অদ্ভুত এই রহস্য গাঁথা ফলিতেছে কালে কালে।

Bottom Ad [Post Page]