আগামী কথন
আগামি কথন এর লেখক আস-শাহরান এর পরিচয়
আগামি কথন এর লেখক আস শাহরান সম্পর্কে আমরা বেশি
তথ্য জানতে পারিনি। তাঁর এই ইলহামি কবিতাটি ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় এটি দেখে
নিশ্চিত যে এটি আল্লাহর মনোনীত কোন বান্দা লিখেছেন আল্লহর কাছ থেকে পাওয়া ইলহাম
দিয়ে। তাঁর এই কবিতার সাথে আগামিতে হতে যাওয়া ঘটনাগুলো মিলে যেতে পারে। আর হাদিস
থেকেও এটি প্রমানিত যে এতে আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া খাছ ইলহামি জ্ঞান দিয়েই লিখিত। আমি
শুধু বলতে পারি, সকল ঘটনা কুরআন ও হাদিছের সাথে সামজ্জশ্যপূর্ণ। আর এটি সেরকম একটি
বার্তা আমাদের দেয় সতর্কবাণী হিসেবে যখন কোথাও আল্লাহ আজাব দিবেন তার আগ মুহূর্তে।
কেবল জ্ঞানীরাই তা ধরতে পারে। এটি আমাদের জন্য আজাব আসার আগের চূড়ান্ত বার্তা।
প্রতি
প্যারায় ৪ টি করে লাইন মোট ১০০ টি প্যারা সমৃদ্ধ ভবিৎষত বানীর এই কবিতাটি
আপনাদেরকে অবগত করার জন্য তুলে ধরা হলো ।পিডিএফ বই আকারে ডাউনলোড করতে-
(ওয়েবসাইট) কাসিদা ও আগামী কথন একসাথে ডাউনলোডঃ https://jihadinur.ga/files/2ti%20ilhami%20vobissotbani.pdf
ফেসবুক থেকে পড়তে চাইলে-
আগামী কথন, (ইলহামি ভবিষ্যৎবাণী)ঃ https://www.facebook.com/pg/mahmudgazwatulhind/photos/?tab=album&album_id=114495046656883
ব্যাখ্যা
ছাড়া এটি নিম্নে দেয়া হলো
১. সূচনাতেই প্রশংসা তার
যিনি সৃষ্টি করেছেন জমিন ও আকাশ।
অতিত থাক, আগামীর
কিছু কথা,
আমি করিব প্রকাশ।
২. বিংশ শতাব্দীর বিংশ সনের,
কিছু করে হেরফের।
প্রকাশ ঘটিবে ভন্ড 'মাহাদী'
ভূখন্ড তুরস্কের।
৩. সপ্ত বর্ণে নামের মালা
'হা' দিয়ে শুরু
তার।
খতমে থাকিবে 'ইয়া' - সে
মাহাদীর মিথ্যা দাবিদার।
৪. বাংলা ভূমির দ্বীনের সেনারা,
করিবে মিথ্যার প্রতিবাদ।
জালিমের ভূখন্ড হয়েছিল দুভাগ
সত্য ভাগে হবে ভন্ড বরবাদ।
৫. প্রস্তুত নিচ্ছে ক্ষুদ্র সেনারা
'শীন' - 'মীম'- এর নীড়ে।
দিয়ে জয়গান 'আল্লাহ মহান'
আঘাত হানিবে শত্রুর ঘাড়ে।
৬. অতি সত্তর পাঞ্জাব কেন্দ্রে,
গাইবে মুমিনেরা জয়গান।
একটি শহর আসবে দখলে
ঈমানদারদের খোদার দান।
৭. অতপর দেখবে নদীপাড়ে
সকল বিশ্ববাসীগণ।
চাক্বচিক্কেই হয়না সোনা
বুঝবে না তা লোভিদের মন।
৮. একটি 'শীন' - দুইটি আলিফ
তিন ভূখন্ডেই হবে ঝড়।
বিদায় জানালো মহাদূত
তার তের- নব্বই- এক পর।
৯. যে ভূমি থেকে দিয়েছিল
নিষেধ, খোদার
প্রিয় নবী
নিষেধ ভূলিবে - করিবে রণ,
তাতে হইবেনা কামিয়াবি।
১০. দু' পক্ষ কাল
চলিবে লড়াই,
দখল করিতে জলাংশ।
প্রতি নয় জনের সাত জনই হায়
হইবে সে রণে ধ্বংস।
১১. যেখান থেকে এসেছিলো ধন
চলে যাবে সেথায় ফের।
বুঝছোনা কেন এটা তোমাদের
পরীক্ষা ঈমানের।
১২. একটি শহর পেয়েছে মুমিনেরা,
হারাইবে অনুরুপ একটি।
স্বাধীনতার অর্ধ-শতাব্দির কিছুপর,
হাত ছাড়া হবে দেশটি।
১৩. পঞ্চ হরফ 'শীন' এ শুরু,
'নূন' এ খতম নাম।
মিত্র দলের আশ্রয়েতে,
নেতা হইবে অপমান।
১৪. ফিতর-আযহার মাঝখানে তে,
বোঝাইবেন খোদা তায়ালা।
মুসলিম নেতা হয়েও,
কাফেরের বন্ধু হবার জ্বালা।
১৫.ছাড়বে সে যে শাষণ গদি,
থাকবেনা বেশি আর।
জানাইবে ধিক্কার।
১৬. কাশ্মীর হারিয়ে কাফের জাতি,
ক্ষিপ্ত থাকিবে যখন।
ছলনা বলে দুসনের মাঝেই,
তারা করিবে পার্শ্বভূম দখল।
১৭. পাপে লিপ্ত হিন্দবাসী- সে ভূমে,
ছাড়াইবে শোয়া -কোটি -ছয় খুন।
চোখের সামনে ইজ্জত হারাইবে
লক্ষ কোটি মা-বোন।
১৮. সময় থাকতেই হওরে জোট,
সবুজ ভূমির যুবকগণ।
অচিরেই দেখবে চোখের সামনে
হত্যা হবে কত প্রিয়জন।
১৯. আহাজারী আর কান্নায় ভারী
এভূমি হইবে ঘোড়-কারবালা।
খোদার মদদে 'শীন'-'মীম' সেক্ষণে,
আগাইবে করিতে শত্রুর মোকাবেলা।
২০. 'শীন' সে তো সাহেবে কিরান
'মীম' - এ 'হাবিবু্ল্লাহ'।
জালিমের ভূমিতে ঘটাইবে মহালয়,
সাথে আছে মহান আল্লাহ।
২১. 'হাবিবু্ল্লাহ' প্রেরিত আমীর,
সহচর তার 'সাহেবে
কিরান'।
কিরানের হাতে থাকিবে জিহাদের,
কুদরতি অস্র 'উসমান'।
২২. বীর গাজীগণ আগাইবে জিহাদের,
করিবে মরণ-পন মহারণ।
খোদার রাহে করিবে হত্যা,
অসংখ্য কাফেরকে, মুমিনগণ।
২৩. সে ক্ষণে মিলিবে দক্ষিণী বাতাশ,
মুমিনদের সাথে দুই 'আলিফদ্বয়'
মুশরিক জাতি পরাজয় মানবে,
মুমিনদের হইবে বিজয়।
২৪. দ্বীন থেকে দূরে আছিলো সে যে,
ছয় হরফেতে তাহার নাম।
প্রথমে 'গাফ'- খতমে 'শাহা'
স্ব-পরিবারে আনিবে ঈমান।
২৫. হিন্দুস্থানেই হিন্দু রেওয়াজ,
থাকিবেনা তিল পরিমান।
আল্লাহর খাছ রহমত হবে,
মুমিনদের উপর বরিষান।
২৬. অন্যত্র পশ্চিমা বিশ্ব তখন,
সৃষ্টি করিবে বিপর্যয়।
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে
ঘটাইবে বড় মহালয়।
২৭. দ্বিতীয় বিশ্ব সমর শেষে,
আষি বর্ষ পর।
শুরু হবে ফের অতি ভয়াভয়,
তৃতীয় বিশ্ব সমর।
২৮. কুর্দিকে এ রণে করিবে ধ্বংস,
কঠিন হস্তে আরমেনিয়া।
আরমেনিয়ায় ঝড় তুলিবে
সম্মুখ সমরে রাশিয়া।
২৯. রাশিয়া পাইবে কঠিন শাস্তি
মাধ্যম হইবে তুরস্ক।
তাহার পরই এই মাধ্যমকে
কুর্দি করিবে ধ্বংস।
৩০. এর মাঝেই চালাবে তান্ডব,
পার্শদেশ কে হিন্দুস্থান।
বজ্রাঘাতে হইবে ধ্বংস,
বেঈমানের হাতে পাকিস্তান।
৩১.তাহার পরই হিন্দুস্থানের একাংশ,
ধ্বংস করিবে তিব্বত।
তিব্বত কে করিবে সে রণে তখন
একটি 'আলিফ' বধ।
৩২. চতুর্মূখী বজ্রাঘাতে সে
'আলিফ' হইবে
নিঃশেষ।
ইতিহাসে শুধু থাকিবে নাম
মুছে যাবে সেই দেশ।
৩৩.বিশ্বরণে কালো ধোয়ায়
অন্ধকার থাকিবে আকাশ।
দেখিবে তখন জগৎ বাসি,
দুখানের দশম বাণীর প্রকাশ।
৩৪. সাত মাস ব্যাপি ধোয়ার আযাবে,
বিশ্ব থাকিবে লিপ্ত।
দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ হারাইবে প্রাণ,
রব থাকিবেন ক্ষিপ্ত।
৩৫. ভয়ংকর এই শাস্তির কারণ,
বলে যাই আমি এ ক্ষনে।
নিম্নের কিছু কথা
তোমরা রাখিও স্মরনে।
৩৬. মহা সমরের পূর্বে দেখিবে
প্রকাশ পাইবেন ' মাহমুদ'।
পাশে থাকবেন 'শীন' ও জ্যোতি,
সে প্রকৃতই রবের দূত।
৩৭. হিন্দুস্থান থেকে যদিও একজন,
জানাইবে 'মাহমুদ' - এর দাবি।
খোদা করিবেন সেই ভন্ডকে ধ্বংস,
সে হইবেনা কামিয়াবি।
৩৮.হাতে লাঠি, পাশে জ্যোতি,
সাথে সহচর 'শীন'।
মাহমুদ এসে এই যমিনে
প্রতিষ্ঠা করবেন দ্বীন।
৩৯. 'সত্য' সহ করিবেন আগমন,
তবুও করিবে অস্বিকার।
হক্বের উপর করবে বাতিল,
কঠিন অন্যায় অবিচার।
৪০. অবিশ্বাসী জাতির উপর,
গজব নাজিল হবে তখন।
পঁচিশ সনের মহা সমরে,
ধোয়ার আযাব আসিবে যখন।
৪১. লিখে রাখা আছে, খুজে দেখ
তবে মহানবীর (ছ.) পূথিতে।
আধুনিকতার হবে ধ্বংস
পৃথিবী ফিরে যাবে অতীতে।
৪২. থাকবেনা আর আকাশ মিডিয়া,
থাকবেনা আনবিক অস্র।
ফিরে পাবে ফের ইতিহাস দৃশ্য,
ঘোড়া-তরবারির চিত্র।
৪৩. গায়েবী ধ্বনির যন্ত্র ধ্বংস,
নিকট হইবে দূর।
প্রাচ্য বসে শুনবেনা
আর প্রতিচীর গান সুর।
৪৪.সৃষ্টির উপর হাত খেলানোর,
করেছো দুঃসাহসিকতা।
শাস্তি তোমাদের পেতেই হবে
তাই তো এই বিধ্বংস্ততা।
৪৫.বাং লায় তোমরা করছো পূজা,
মুশরিক বা'ল দেবতার।
মুসলিম হয়েও কেন তোমরা
হারাচ্ছো নিজেদের অধিকার।
৪৬. আধুনিকতার কারণে মানুষ,
লিপ্ত নগ্নতা-অশ্লিলতায়।
বেপর্দা নারী, মূর্খ আলেম, তাইতো
পচিশে ধ্বংস হবে সব অন্যায়।
৪৭.আকাশে আলামত; জন্ম হলো,
দ্বিতীয় আবু সুফিয়ান।
চল্লিশ বছরে প্রকাশ পাবে,
দুটি শক্তিতে সে বলিয়ান।
৪৮.মহা যুদ্ধের দু সনের মাঝেই
ভয়ংকরি এক তান্ডবে।
মুসলিমদের উপর আক্রমনে,
সুফিয়ানের জয় হবে বাগদাদে।
৪৯.সিরিয়া বাসি আবু সুফিয়ান,
তারপর হবে একটু স্থীর।
কালো পতাকাধারী পূর্বের সেনারা,
জমাইবে আরবে ভিড়।
৫০. আরবে তখনও চলিবে তিনজন,
স্বার্থলোভী নেতার লরাই।
আল্লাহর দ্বীন ভূলে গিয়ে তারা
দেখাবে ক্ষমতার বড়াই।
৫১. আধুনিকতার অধ্বঃপতনের
তৃতীয় বর্ষ পর।
আঠাষে প্রকাশ পাইবে 'মাহাদী'
এই দুনিয়ার উপর।
৫২. শত অপেক্ষার অবশান ঘটিয়ে,
"ইমাম - মাহদীর" হবে আগমন।
দুঃখ, দুর্দশা
হবে দূর,
শান্তিতে ভরে যাবে এ ভূবন।
৫৩. শুনে রাখো তোমরা বিশ্ববাসী,
"মাহাদীর " দেখা পেলে।
তার পাশেই রবে রবের রহমত,
"শুয়াইব ইবনে সালেহ"।
৫৪. কালো পতাকাধারী মাহমুদ সেনারা,
"মাহদীর" হাতে নেবে শপথ।
আরবে করিবে ঘোড়তর রণ,
অতঃপর আনিবে আলোর পথ।
৫৫. মধ্য রমজানের ভোরের আকাশে,
জিব্রাঈল দেবেন ভাষণ।
প্রকাশ পাবেন, ক্ষমতায় যাবেন,
"মাহাদী" করবেন বিশ্ব শাষণ।
৫৬. মাকামে ইব্রাহীম ও কাবাগৃহ
এ দ্বয়ের মধ্যখানে।
"মাহাদীর" সত্যায়ন দিবেন জিব্রাঈল,
প্রকাশ্য মজলিসে দিবালোকে।
৫৭. সেই মজলিসেই ইমাম মাহমুদ কে,
খোদা সম্মান দান করিবেন।
রহস্য উদ্ভঘাটনের সেই দৃশ্য,
সবাই সচক্ষে দেখিতে পাইবেন।
৫৮. আক্রমণ করিতে আসিবে "মাহাদী" কে,
অসংখ্য সেনা সহ 'সুফিয়ান'।
'বায়দাহ' নামক
প্রান্তরে এসে,
ধ্বসে যাবে সাত হাজার তিনশ প্রণ।
৫৯. যদিও সে স্থানে ভূমি ধ্বসের ফলে,
হারাইবে সকলেই প্রাণ।
খোদার কুদরতে, বেচে রবে শুধু,
দ্বিতীয় আবু সুফিয়ান।
৬০. প্রাণ ভিক্ষা পেয়ে আবু সুফিয়ান,
"মাহদীর"- প্রচারণা চালাবে।
অবশেষে সে ঈমান হারা হয়ে
মৃত্য বরণ করিবে।
৬১. সমগ্র বিশ্বের রাষ্ট্র প্রধানরা,
"মাহদীর" হাতে নিবে শপথ।
বাদশাহী পাবে "ইমাম মুহাম্মাদ"
পৃথিবীকে দেখাবেন সুপথ।
৬২. ফলমুল শস্যদানা ও উদ্ভিদমালার,
বহুগুণে হবে উৎপাদন।
আল্লাহর খাছ রহমত পেয়ে,
শান্তিতে রবে জনগণ।
৬৩. রবের চারটি দূত তখন,
থাকিবে দুনিয়ার উপর।
'মীম' ও 'মীম' দুইটি আমির
'শীন' ও 'শীন' তাদের
সহচর।
৬৪. বাদশাহী পেয়ে বিশ্বনেতা,
সাত থেকে নয় বছরের পর।
ভারপ্রাপ্ত করিবে খেলাফত,
'মাহাদী'- 'মাহমুদ' এর উপর।
৬৫. দু'সনের মধ্যে
'ইমাম মাহমুদ'
বিশ্ব শাষণ ভার।
হস্তান্তর করিবেন খেলাফত,
'মুনসুর' এর উপর।
৬৬. কাহতান বংশীয়, লাঠি হাতে
বড় কপাল বিশিষ্ট।
বিশ্ব শাষণ করিবেন মুনসুর,
থাকিবে শত্রুর উপর ক্ষিপ্ত।
৬৭. আটত্রিশ থেকে আটান্ন সাল
মুনসুরের শাষণ কাল।
শত্রুর উপর বিজয়ী থেকে,
রবের দ্বীন রাখবেন অটল।
৬৮.শাষক মুনসুরের খেলাফত শেষের,
অষ্ট বর্ষ পূর্বে-
মিথ্যা ঈসার হবে দাবিদার,
একজন পারশ্য সম্রাজ্যে।
৬৯. বাতিল ধ্বংশে রবের দূত,
জামিল নামটি তার।
ভন্ড ঈসাকে ধ্বংস করার,
রব দিবেন দায়িত্বভার।
৭০. শত্রু নিধন করবে জামিল,
হাতে রেখে যুলফিকার।
রক্ত নেশায় উঠবে মেতে,
পাশে রবে 'সালমান' সহচর।
৭১. ভন্ড ঈসাকে ধ্বংস করিবে,
জামিল চোয়ান্ন সালে।
বীর জামিলকে জানাইবে স্বাগতম,
মুনসুর শাষকের দলে।
৭২. মুনসুর তখন বানাইবে জামিলকে,
তাহার প্রধান সেনাপতি।
রবের রহমতে সে বীরযোদ্ধা,
বিশ্বে পাইবেন স্বীকৃতি।
৭৩. তাহার পরেই ধরণি বাসি,
আগাইবে পঞ্চান্ন সালে।
জমিনের বুকে আসিবে 'জাহজাহ',
ছিলো সে চোখের আড়ালে।
৭৪. পূর্বে কৃতদাস ছিলেন 'জাহজাহ'
আযাদ দিলেন রব।
ধরনির মাঝে বন্ধ করবেন,
কোলাহোলের উৎসব।
৭৫. ছাপ্পান্নতে যাবেন 'জাহজাহ'
শাষণ ক্ষমতায়।
দামেস্কে মসজিদে পাইবেন ইমামত,
সৎ চরিত্র ও সততায়।
৭৬. ষাটের শেষে দাজ্জাল এসে,
দিবে বিশ্বে হানা।
আল্লাহর রছুল (ছ.) বলে গেছেন,
তার থাকিবে এক চোক কানা।
৭৭. মহা মিথ্যুক দাজ্জাল তখন,
করিবে রবের দাবি
যে জন করিবে অস্বীকার তাকে,
সেই হইবে কামিয়াবি।
৭৮. দাজ্জাল সেনাদের তান্ডব লিলায়,
ঘটিবে বিশ্বে বিপর্যয়।
'জাহজাহ' চাইবেন
সবার জন্য,
রবের রহমতের আশ্রয়।
৭৯. সাদা গম্বুজের দামেস্ক মসজিদে,
জাহজাহ করিবেন ইমামত।
বাষট্ট সালে, গম্বুজের উপর,
রব পাঠাইবেন রহমত।
৮০. আছরের সময় দেখবে সবাই,
হযরত ঈসা (আ.) এর আগমন।
সাদা পোশাকে নামিবেন তিনি,
দু'পাশে
ফেরেস্তা দুজন।
৮১. ইমাম 'জাহজাহ' জানাইবে তাকে,
ছলাতে ইমামতির আহ্ববান।
হযরত ঈসা (আ.) বলবেন তাকে,
এ তো আপনারই সম্মান।
৮২. যুলফিকর হাতে 'লুদ্দ'- এর ফটকে,
হযরত ঈসা (আ.) - তখন,
হত্যা করিবে কানা দাজ্জাল কে,
করিয়া আক্রমণ।
৮৩. ক্ষমতা হস্তান্তর করিবেন 'জাহজাহ',
'ঈসা (আ.)' করবেন
শাষণ।
রবের রহমতে দ্বিতীয় আগমনে,
তিনি পাইবেন উচ্চ আসন।
৮৪. সু- শৃঙ্খলময় শান্তি বিশ্বে,
করিবে বিরাজমান
ছিষট্টিতে 'দাব্বাতুল আরদ্' এর,
হইবে উত্থান।
৮৫. পাখনা বিহিন অসংখ্য প্রাণী,
বিড়ালের অবয়ব।
বাকশক্তিহীন, দাত বিশিষ্ট তাদের,
গজবে নিঃশেষ করিবেন রব।
৮৬. বছর শেষেই প্রাচির ভাঙ্গিয়া,
'ইয়াজুজ- মাজুজ' এর দল।
প্রকাশ পাইয়া আক্রমণ চালাবে,
তারা জন শক্তিতে সবল।
৮৭. হাতে থাকিবে তীর ধনুক আর,
আকারে থাকিবে ভিন্ন।
পশ্চাৎ হইবে পশুর ন্যায়,
দেহ সবল ও জীর্ণ-শীর্ণ।
৮৮. মানব জাতির অভিশাপ স্বরূপ,
আগমন হইবে তাদের।
হযতর ঈসা (আ.) করিবেন দোয়া,
সাহায্য চাইবেন রবের।
৮৯. দুই-তৃতীয়াংশ মানব হত্যা করিবে,
প্রকাশ পাওয়ায় পর।
আসমান থেকে আসবে গজব,
তাদের ঘাড়ের উপর।
৯০. প্রকাশ পাওয়ার সনেই হবে,
ধ্বংস পঙ্গপাল।
সুখ ও শান্তি আসিবে ফিরিয়া,
দুঃখ যাইবে অন্তরাল।
৯১. শাষণ আমল চলিবে ঈসা (আ.) - র,
তেত্রিশটি বৎসর।
ওফাত হবে, কবরস্ত হবে,
এই দুনিয়ার উপর।
৯২. এরপর চলিবে দুই-তিন বর্ষ
শান্তিময় বসুন্ধরা।
তারপর সবাই ধীরে ধীরে হবে,
আদর্শ ও ঈমান হারা।
৯৩. অশ্লীলতা, পাপ-পঙ্কিলতায়,
ভরে যাবে ধরণী ফের।
কাবা গৃহের উপর আক্রমণ করিবে,
সৈন্যরা জর্ডানের।
৯৪. কাবাগৃহ ভাঙ্গবে জর্ডানী হাবশী,
একুশশত দশে হবে তা নিঃচিহ্ন।
প্রকাশ্য জ্বেনায় মাতিবে তারা,
রাখিবে পাপের পদচিহ্ন।
৯৫. কাবাগৃহ ভাঙ্গার দশ বর্ষপর,
আসিবে শীতল হাওয়া।
মুমিনেরা প্রাণ হারাইবে তাতে
এটাই রবের চাওয়া।
৯৬. ঈমান হারা পৃথিবীবাসী,
হইবে পশুর অধম।
নিকৃষ্টতার চূড়ায় পৌছিয়ে,
করিবে সীমালঙ্গন।
৯৭. বছর শেষে পশ্চিম দিকে,
হইবে সূর্যদয়।
তাওবাহর দরজা হইবে বন্ধ,
আসবে কিয়ামতের মহালয়।
৯৮. চলে আসিবে সেই মহা কিয়ামত,
বেশি দূরে নয় আর।
পৃথিবীবাসীকে এই কবিতায়,
করিলাম হুসিয়ার।
৯৯. গায়েবী মদদে পাইলাম কথন,
দু সহস্র-দশ-আট সালে,
অদ্ভুত এই "আগামী কথন",
ফলে যাবে কালে কালে।
১০০. রহস্যময় এই পূথিগাথা,
খোদায়ী মদদে পাওয়া রতন।
শেষ করিলাম আমি এক্ষণে,
পৃথিবীর ""আগামী কথন""।
(আল্লাহ
আলাম)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন