গাজওয়াতুল হিন্দ ও ইমাম মাহমুদ

Untitled-2

ইলহামী ভবিষ্যৎবানী

আখীরুজ্জামান বিশ্লেষণ

পর্বভিত্তিক আলোচনা

সত্যের সৈনিক এর লেখাগুলি

Post Page Advertisement [Top]

ইমাম মাহমুদ অপরিচিত হওয়া। এটি কি আল্লহর কৌশল নাকি আপনাদের স্বল্পজ্ঞান অনুযায়ী ভণ্ডামি? আগে কেন এই দাবি বা উল্লেখ আসেনি? এটি কি নতুন ফিতনা?

আমি একটু দুরের পরিস্থিতিতে চলে যাবো সেজন্য।
আচ্ছা যখন ইমাম মাহদি প্রকাশ পাবেন তখন পরিস্থিতি কেমন হবে? এটা সম্পর্কে সবাই তো অবগত যে তিনি আসবেন। প্রত্যেকটা দেশ, ও সেখানের মুসলিমরাই নয়, সেখানের অনেক কাফির, ইয়াহুদি, খ্রিস্টানরাও তা অবগত।

আজ সাধারণ মুসলিমদের উপর যে নির্যাতন চলছে। তাদের মধ্যে অনেকেই নামাজিও না। তবে তারা জন্ম সূত্রে মুসলিম, এর কারনেই এই অত্যাচার তাদের উপরে, আর আল্লাহ এটিকে আজাব ও লাঞ্ছনা বলেছেন দ্বীন থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারনে।

আর আজ যারা হকের কথা বলছে। আলিম ও দ্বীনের জন্য যারা কাজ করছে, তারা শুধু আল্লহর আদেশ-নিষেধ কে তুলে ধরছে। তারা হচ্ছে গুম, আটক, খুন।

আর তার থেকে যারা আরেকটু ঈমানী শক্তির, তারা হকের কথা জালিমের সামনেও বলতে ভয় পায় না। তারা শাসকদের ভুল ধরিয়ে দেয়। তারা জানে তাদের জীবনের ঝুকি, তারপরও তারা ঈমানের উপর অটল থাকে ও দায়িত্ব পালন করে। তারপর কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়ে নির্যাতন এর স্বীকার হয়ে শাহাদাত বরণ করে।

এই ৩ শ্রেণীর কেউই রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার কথা বলেনি। এতেই তাদের উপর আসলো এমন বিপদ যা মৃত্যু দিয়ে শেষ করতে হয়। যদি সেটি বলা হত তাও তাদের তা দুনিয়া ছাড়ার কারণ হত।

এই পরিস্থিতিতে ইমাম মাহদি আসবেন কিভাবে তাহলে, যেহেতু সবাই তার ব্যাপারে সতর্ক? নিরাপদে কোথায় আশ্রয় নিবেন তিনি?
চিন্তাশীলরা অবশ্যই ভাববেন আর মূর্খরা আবারো দুনিয়াবি কাজে ও পীর পূজায় লিপ্ত হবে।
তখনকার পরিস্থিতিও কি এরকম হবে?
মাহদি কি কাবা ঘরের ওখানে জিবরাইল (আঃ) এর মাধ্যমে নিজের আত্মপ্রকাশ করতে পারবে যেখানে রয়েছে অত্যাচারী শাসক?
তখনকার পরিস্থিতি কেমনভাবে পরিবর্তন হবে জানেন? এটি না জানলে আপনি সব কিছুকেই ফিতনা মনে করে ছেড়ে দিবেন। না পারবেন হক জামাত চিনতে আর না পারবেন তাতে যুক্ত হতে আর না পারবেন নিজেকে ফিতনা থেকে রক্ষা করতে।

হাদিসে কি এসেছে এই ব্যাপারে?

----------------------------------

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে”।

(সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৩, হাদিস নং ২৮৯৬; সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮)
চিন্তাশীলদের তখন প্রশ্ন হবেঃ এরা কারা হবে? কোন লোক?

হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা, তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”।
(মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭; কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬; মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়)

চিন্তাশীলদের তখন প্রশ্ন হবেঃ কালো পতাকা খোরাসানের দিক থেকে বের হবে কবে? কারা এর ধারক বাহক হবে?

হযরত মুআয ইবনে যাবাল রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ বলেছেন,অবশ্যেই আমার বংশের মাহদীর আগমনের পূর্বে কিয়ামত সংঘটিত হবে না। আর সে নিরাপদে জেরুজালেম ভ্রমণ করবে।
আর ততক্ষন মাহদী জেরুজালেম ভ্রমন করবে না, যতক্ষন না অভিশপ্ত জাতি থেকে তা শামীম বারাহর দখলে না আসে। আর অবশ্যেই তা দিনের আলোর মত সত্য।
(আখিরুজ্জামনা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,হাদিছ নং,৯৬)

চিন্তাশীলদের তখন প্রশ্ন হবেঃ নিরাপদে জেরুজালেম ভ্রমণ করবে কিভাবে? অভিশপ্ত জাতি বলতে কাদের বুঝিয়েছে? শামীম বারাহ তিনি কে?

হযরত সাদ ইবনে ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন,
রাসুল (সা.)বলেছেন,
জেরুজালেম মুমিনদের দখলে যাবে, আবার তা ইহুদী সম্প্রয়াদ দখলে নেবে। অতঃপর আল্লহ তা'আলা শামীম বারাহর মাধ্যেমে আবার তা মুমিনদের দখলে আনবে। তখন মাহদী সেখানে নিরাপদে ভ্রমন করবে।
(আখিরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,হাদিছ নংঃ৯৮)

চিন্তাশীলদের তখন প্রশ্ন হবেঃ চিন্তাশীলরা জানে জেরুজালেম মুমিনদের দখলে এসেছিলো। আবার তা এখন ইহুদীদের দখলে। গাজী সালাহ উদ্দিন আয়্যুবি (রাহঃ) এর নেতৃত্বে জেরুজালেম বিজয় এবং তারপরের কাহিনি জানতে-  https://www.facebook.com/651792828665146/photos/a.652872295223866/675609909616771

হযরত আবু জাফর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, সুফিয়ানী বাগদাদ ও কুফা (মসূল) প্রবেশের পর তার সেনাবাহিনীকে দূরবর্তী অঞ্চলে (ভাগ ভাগ করে) পাঠিয়ে দিবেন। তার পাঠানো (সৈন্যবাহিনীর) একটি অংশ খোরাসান বাসিদের নদীর (কাস্পিয়ান সাগরের) তীরে পৌঁছে দিবেন। তখন প্রাচ্যবাসীরা (মধ্য এশিয়ার কালো পতাকাবাহী যোদ্ধারা) তাদেরকে যুদ্ধের জন্য সাদর আমন্ত্রণ জানাবে। অতঃপর সুফিয়ানীর সৈন্যবাহিনী (প্রানের ভয়ে) কুফাতে (মসূল) শহরে ফিরে যাবে। তারপর সুফিয়ানী বনি উমাইয়া গোত্রের একজনের নেতৃত্বে বিস্তীর্ণ প্রস্তরময় ময়দানে ( ফার্স প্রদেশের ইস্তাখর নামক স্থানে) বিশাল একটি সৈন্যবাহিনী পাঠাবে। অতঃপর কুমুস (কোম শহর) , রি অঞ্চল (রাজধানী তেহরান) , খুমের জারিহ (তেহরানের পূর্বদিকের সারিহ শহরে) নামক স্থানে যুদ্ধ হবে। ঐ সময় সুফিয়ানী কুফা (মসূল) শহরের ও মদিনা বাসিদের হত্যার নির্দেশ দিবেন। এমনি সময় বনি হাশেম গোত্রের একজন যুবক (হারস হাররাস) সমস্ত মানুষদেরকে একত্রিত করার জন্য অনুমোদন করবেন এবং খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলকে (সাহায্যের জন্য) গ্রহন করবেন। তার ডান হাতে বড় তিলক থাকবে। আল্লাহ তায়ালা যুবকটির সমস্ত কাজ ও পথকে সহজ করে দিবেন। তারপর খোরাসানের সীমান্তে যুবকটিকে (প্রতিপক্ষ) আক্রমণ করবে। তখন তিনি রি নামক (তেহরানের পাশে দিয়ে) রাস্তা দিয়ে চলে যাবেন। তারপর বনি তামীম গোত্রের একব্যাক্তি যাকে আঞ্চলিক ভাষায় শুয়াইব ইবনে সালেহ বলা হবে, সে ইস্তাখর ময়দানে উমাইয়াদের (সুফিয়ানী বাহিনীর) দিকে (যুদ্ধের জন্য) বেড়িয়ে পরবে। তখন দুটি অংশের (দুটি রাষ্ট্রের) একটি একটি ভূখণ্ডে যুদ্ধ হবে এবং তাদের মধ্যে মারাত্নক যুদ্ধ বেধে যাবে। এমনকি অশ্বারোহী বাহিনীর রক্ত পায়ের গোড়ালির গিট পর্যন্ত জমে যাবে। তারপর বনি আদি গোত্রের একব্যাক্তির নেতৃত্বে সাজিস্তান থেকে বড় একটি সৈন্যদল এগিয়ে আসবে। আল্লাহ কিভাবে তাকে এবং তার সৈন্যদেরকে সাহায্য করবেন, তা প্রকাশ করবেন। তারপর (কালো পতাকাবাহী দল) রি নামক এলাকা (তেহরান) আক্রমণের পর মাদায়েন শহর (বাগদাদের নিকটবর্তী এলাকা) আক্রমণ করবে। সর্বশেষ আকের কুফা (ইরাক ও সিরিয়ার বর্ডারে) এলাকা আক্রমণ করে সবাইকে নিষ্কৃতি প্রদান করবেন। এরপর ঘোষণা দিয়ে বৃহৎ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হবে বাকিল (ফার্স প্রদেশের সিরাজ শহরে) নামক স্থানে। অতঃপর বিপুল সংখ্যক লোকদেরকে তারা বাছাই করতে বের হবে এবং কুফা (মসূল) ও বসরা (ইরাকের) লোকদেরকে সংঘবদ্ধ করবে। এমনকি ঐ সময় কুফা (মসূল) শহরে (সুফিয়ানীর নিকট) যেসব যুদ্ধবন্ধি থাকবে, তাদেরকে উদ্ধার করবে।
(আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯১৩) 

চিন্তাশীলদের তখন প্রশ্ন হবেঃ খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলকে (সাহায্যের জন্য) গ্রহন করবেন। এই কালো পতাকাবাহী দল প্রকাশ পাওয়ার আগেই কি যুদ্ধ বিগ্রহ করতে থাকবে? এত এত যুদ্ধ হবে?
শুয়াইব ইবনে সালেহ এর কথা বলা থাকলেও কেন খোরাসানের দল এর পরিচয়ের কথা বলা নেই? সেখানে কেউ কি মনোনীত থাকবে না যেইদল এত যুদ্ধ করবে আর সবগুলোতেই বিজয়ী হবে?

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেছেন, “সমুদ্রের শহীদান, আন্তাকিয়ার-আমাকের শহীদান ও দাজ্জালের শহীদান হল মহান আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠতম শহীদ”। (আল ফিতান, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৯৩)

চিন্তাশীলদের তখন প্রশ্ন হবেঃ সমুদ্রের শহীদান, আন্তাকিয়ার-আমাকের শহীদান কারা? এটি বলতে কি বুঝিয়েছে?


হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন সুফইয়ানী ঘোড়া (সৈন্য) কূফার(মসূল শহরের) দিকে বের হবে। সে খোরাসানবাসী দের অনুসন্ধানের জন্য সৈন্য প্রেরণ করবে। আর এদিকে খোরাসানবাসীরা মাহদীর খোজে বের হবে। অতপর সে (হারস হাররাস) এবং হাশেমী ব্যক্তি কালো পতাকা সহকারে যে পতাকাবাহী দলের সম্মুখভাগে থাকবে শুয়াইব ইবনে সালেহ। অতপর তার এবং সুফইয়ানীর দলের ইস্তাখাররা বাবের (ইরানের একটি প্রাচীন এলাকা) নিকট সাক্ষাৎ(যুদ্ধের জন্য মুখোমুখি) ঘটবে। অতপর তাদের মাঝে বড় একটি যুদ্ধ হবে এবং (খোরাসানের) কালো পতাকার প্রকাশ পাবে। এবং সুফিয়ানীর সাথী বা দল পালিয়ে যাবে। আর সে সময়ই মানুষ মাহদীর জন্য আকাঙ্খা করবে এবং তাকে ডাকবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯১২ ]

চিন্তাশীলদের তখন প্রশ্ন হবেঃ এত যুদ্ধ করে ফেলল আর এখন কালো পতাকাবাহি দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে? আগে কোথায় ছিল এরা?


আচ্ছা যদি এই দলের পরিচয় আগেই পাওয়া যেত? তাহলে কি হতো? শত্রুদের থেকে তারা সব দিক দিয়ে আক্রমণের শিকার হতো। এমনকি তারা প্রথম থেকেই সফলতা পেত না যদি না অপরিচিত হয়। এমন কি আসল নামের পরিবর্তে তারা উপনামে পরিচিত হবে।
আল্লাহই সেই শ্রেষ্ঠ কৌশলী যিনি এমন ভাবে সব সাজিয়েছেন যে তা মানুষের ধরতে মাস কিংবা বছর কিবা সেই প্রতীক্ষিত ক্ষণই লাগতে পারে। তারা থাকবে সুরক্ষিত, কেউ তাদের ক্ষতি করতে পারবে না। তাদের সামনে পাহাড় আসলে তাও টলে যেত। তারা ঘোরতর লড়াই করবে।

হাদিসে এসেছে-


হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
তোমাদের ধনভাণ্ডারের নিকট তিনজন খলীফা সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে। কিন্তু ধনভাণ্ডার তাদের একজনেরও হস্তগত হবে না। তারপর পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে কতগুলো কালো পতাকা আত্মপ্রকাশ করবে। তারা তোমাদের সাথে এমন ঘোরতর লড়াই লড়বে, যেমনটি কোন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে লড়েনি।
বর্ণনাকারী বলেন, তারপর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে বললেন,
“তারপর আল্লাহর খলীফা মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। তোমরা যখনই তাঁকে দেখবে, তাঁর হাতে বাইয়াত নেবে। যদি এজন্য তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়, তবুও যাবে। সে হবে আল্লাহর খলীফা মাহদি”।
(সুনানে ইবনে মাজা; খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৭; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১০)

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন বস্তু তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)”।
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)

যারা বলেন ইমাম মাহমুদের ছবি দেন, সে কোথায় আছে, দেখা করবো।
তাদের জানাচ্ছি যে, সে সম্পর্কে আর আপনারা জানতে পারবেন না। সেই সময় শেষ। তবে আল্লাহ যখন চাইবে তখনই তাকে খুজে পাবেন।
এর আগে তাকে আপনারা আর খুজে পাবেন না।

সুনির্দিষ্ট উপসংহারে না পৌঁছালেও একজন সচেতন মুসলিম হিসাবে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি থাকবে হাদিসে বর্ণিত মুসলিম ভূখণ্ডগুলোর প্রতিটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সর্বোপরি সামরিক পরিস্থিতির উপর। বিশেষ করে, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইরাক, ইয়েমেন, জর্দান, মিশর, লিবিয়া, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, পূর্ব তুর্কিস্থান, পূর্বদিকের (খোরাসানের) সহ সকল মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে। যাতে আমরা গাফিলতির কারনে ভূল পথে চলে না যাই। 


হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা নবী করীম (সাঃ) এর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উনি বলতে ছিলেন, “ঐ দিক থেকে একটি দল আসবে (হাত দিয়ে তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন)। তারা কালো পতাকাবাহী হবে। তারা সত্যের (পূর্ণ ইসলামী শাসনের) দাবী জানাবে, কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হবে না। দুইবার বা তিনবার এভাবে দাবী জানাবে, কিন্তু তখনকার শাসকগণ তা গ্রহণ করবে না। শেষ পর্যন্ত তারা (ইসলামী শাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব) আমার পরিবারস্থ একজন লোকের (ইমাম মাহদির) হাতে সোপর্দ করে দিবে। সে জমিনকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে ভরে দিবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ঐ সময় জীবিত থাকো, তবে অবশ্যই তাদের দলে এসে শরীক হয়ে যেও – যদিও বরফের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে আসতে হয়”।
(আবু আ’মর আদ দাইনিঃ ৫৪৭, মুহাক্কিক আবু আবদুল্লাহ শাফেয়ী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)

background


৫টি মন্তব্য:

  1. Deloar%252BHossain

    অবিশ্যই একটা ভালো সাইট, শেষ জামানা সম্পর্কে অনেক আলেমগণ পর্যন্ত গাফেল, আপনারা এই বিষয় গুলো তুলে ধরেছেন। তারাই এই বিষয়ে সমালোচনা করবে যারা এই বিষয়ে জ্ঞান রাখে না, এই বিষয়ে জানতে হলে অনেক জ্ঞান দরকার। ধন্যবাদ আপনাদেরকে । 🌹🌹🌹

    উত্তরমুছুন
  2. blogger_logo_round_35

    অালহামদুলিল্লাহ যে একটি ভাল গবেষণামূলক সাইটের সন্ধান দিয়েছেন।

    উত্তরমুছুন
  3. blogger_logo_round_35

    আলহামদুলিল্লাহ
    অবশ্যই এটি মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট। আসলে বিশ্বের বিভিন্ন আলেম বর্তমানে গাফেল রয়েছেন। তবে এই সাইটটাতে অনেক কিছু জানার আছে।

    উত্তরমুছুন
  4. blogger_logo_round_35

    আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথ চেনার তাওফীক দান করুক,,,

    উত্তরমুছুন
  5. blank

    ভাই আমি লেখক আস শাহরান এর আগামী কখন পড়েছি,
    কিন্তু আমি সেখানে একটা বিষয় বুঝতে পারিনি,এখন আমি
    আপনাকে আগামি কথনের দুইটি প্যারা উল্লেখ করছি,

    ৩৬. মহা সমরের পূর্বে দেখিবে
    প্রকাশ পাইবেন ' মাহমুদ'।
    পাশে থাকবেন 'শীন' ও জ্যোতি,
    সে প্রকৃতই রবের দূত।

    ৩৮.হাতে লাঠি, পাশে জ্যোতি,
    সাথে সহচর 'শীন'।
    মাহমুদ এসে এই যমিনে
    প্রতিষ্ঠা করবেন দ্বীন।


    উক্ত প্যারা দুই টায় জ্যোতির কথা উল্লেখ রয়েছে,
    এখানে এই জ্যোতি টা কে ? এই জ্যোতি কি কোন মানুষ না অন্য কোন বিষয়ে বোঝানো হয়েছে ?

    উত্তরমুছুন

Bottom Ad [Post Page]