গাজওয়াতুল হিন্দ ও ইমাম মাহমুদ

Untitled-2

ইলহামী ভবিষ্যৎবানী

আখীরুজ্জামান বিশ্লেষণ

পর্বভিত্তিক আলোচনা

সত্যের সৈনিক এর লেখাগুলি

Post Page Advertisement [Top]

আগামীতে ভন্ড ইমাম মাহ্দী দাবি নিয়ে আলোচনা ও ইমাম মাহ্দী ফিতনা।


বর্তমানে সব চেয়ে বড় ফিতনা হচ্ছে ইমাম মাহ্দী নিয়ে। ইমাম মাহ্দী কবে আসবেন এবং আগমনের বিভিন্ন সাল নিয়ে মতোবিরোধ চলছে। তবে আমি কিছু তথ্য দিতে চাই আপনাদের যাতে এই ফিতনা আপনারা চিনতে পারেন।

আমি আপনাদের কাছে ২ টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাল্লাহ। আর আমার ব্যাখ্যা কুরআন ও হাদিসের বিপরীত বা এর বাহিরে যাবে না।
১. ভন্ড ইমাম মাহ্দী দাবি নিয়ে আলোচনা।
২. ইমাম মাহ্দী এর আগমনের সাল ও এ নিয়ে মতবিরোধ নিরসন।

আমি আজকে আলোচনা করবো ভন্ড ইমাম মাহ্দী নিয়ে। এর কোনো প্রমান আমি হয়তো হাদিস দিয়ে করতে পারবো না যদিও থেকে থাকতে পারে যা আমি পাইনি বা কেউ পেয়েছে কিনা জানিনা। তবে শুধু মাত্র তথ্য বিশ্লেষণ করে তা প্রমান করতে পারবো এবং এর সত্যায়ন শুধু মাত্র একটি ইলহামী ভবিষ্যতবাণী কবিতা কাসিদায় সওগাত এর মতো যার নাম আগামী কথন সেটি করতে পারবে। তবে আগে যাচাই বাছাই করে নিবেন আপনারা এটাই আমার চাওয়া।

ইমাম মাহ্দী নিয়ে যেমন একটা হৈচৈ বিরাজ করছে এই ফিতনার জামানায় তখন অনেক ভন্ড ইমাম মাহ্দী হিসেবে দাবি করছে এবং আরো করবে। সেই ৭০০-৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে মাহ্দী দাবি চলে আসছে। এমন কি এখন বাংলাদেশ থেকেও মাহ্দী দাবি করছে অনেকেই। শুধু মাহ্দী নয়। নিজেকে আখেরী নবী তারপর ঈসা (আঃ) এগুলোর দাবিও এদেশ থেকে উঠছে। অন্যান্য দেশেও এগুলো হয় যা আপনারা খুঁজলেই সহজে ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন।
যেমন-
https://www.youtube.com/watch?v=0fQLiB-qp8M
https://www.youtube.com/watch?v=jICmpMHBfkA
https://www.youtube.com/watch?v=06f95CFuNlY

এর মধ্যে যেটি আলোচিত হচ্ছে বেশি তা হচ্ছে পাকিস্তানের মোহাম্মাদ কাসিম নামের এক ব্যক্তির। সে দাবি নিজে না করলেও অনুসারীরা তাকে এরকম পর্যায়ের ভাবতে শুরু করেছে।
মূলত শুধু মাত্র স্বপ্নকে পুজি করে ও ২,৩ টি হাদিস কে পুজি করে এই দেশেও অনুসারীদের যাত্রা শুরু হয়েছে। এটা সত্য যে এই জামানায় মুমিনের সত্য স্বপ্ন হবে। তবে স্বপ্ন শুধু আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয় না, শয়তানের পক্ষ থেকেও হয়ে থাকে। জ্যোতিবিদরা শয়তান জীন থেকে তথ্য পেয়ে অতীত ও ভবিষ্যত এর কিছু তথ্য জানতে পারলেও তা হয় অতি সামান্য এবং বেশির ভাগই অদরকারি ও তাতে কুফর ও শির্ক মিশানো থাকে এবং তথ্যে ভুল থাকে। এবং ফরজ, সুন্নত থেকে দূরে থাকে। জ্যোতিবিদরাও আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করে কিন্তু কাজ করে শয়তানের সাহায্যেই।
এটি দেখতে পারেন- https://www.youtube.com/watch?v=LtEbHJ5j2Jk

তবে তাদের দাবিগুলি প্রথমেই খারিজ হচ্ছে এবং তাদের তেমন কোনো অনুসারী ও নেই যাতে আরো বেশি আলোড়ন হবে।

মূল যেটি আগে বুঝতে চাচ্ছি তা হচ্ছে যে, মাহ্দী দাবি এর সংখ্যা হিসাব না রাখা গেলেও যেগুলো বেশি আলোড়ন তৈরী করেছে সেগুলো ইতিহাসের পাতাতেই চলে এসেছে।
যারা নিজেকে মাহ্দী দাবি করেছে তাদের একটি তালিকা উইকিপিডিয়াতে পাওয়া যায়।
এখানে দেখুন- https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Mahdi_claimants

তো সর্বশেষ যে ইমাম মাহ্দী দাবি করেছিল সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে।  মূলত এটি সর্বশেষ সব চেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছিলো। যে দাবি করেছিল সে মক্কার হারাম মসজিদ ও আসে পাশে এলাকা কবজা করে নিয়েছিল অস্রের মুখে। আর তার নাম ছিল জুহায়মান আল-ওতাইবি। আর তারপরে ইমাম মাহ্দী দাবি করে বসে। আর পরিণতি ছিল শেষে তার শিরোচ্ছেদ। এটা বিশ্বব্যাপী খুব সাড়া ফেলেছিলো তখন।


আসল ইমাম মাহ্দী আসার আগে এরকম যারা এখনো ভন্ড মাহ্দী দাবি করছে তা অনেকেই দেখছেন। তবে সেগুলো তেমন সাড়া ফেলছে না ১৯৭৯ এর দাবি এর মতো।

তবে সামনেই আবারো ইমাম মাহ্দী এর দাবি উঠতে যাচ্ছে যা বিশ্বব্যাপি সাড়া ফেলবে। এমনকি এই দেশের সাধারণ মুসলিম, নামে মুসলিমরাও এটি জানতে পারবে। আর এটি হতে পারে ২০-২১ সালের মধ্যেই। যার কথা আমি বলছি সেই ভন্ড নিজেকে আগেই ইমাম মাহ্দী পরোক্ষভাবে দাবি করেছে। একজন কথিত স্কলারও বটে এবং সুপরিচিত। এমনকি তার কিছু বই বাংলা ভাষায় ও অনুবাদিত হয়েছে। সে কিয়ামতের আলামত ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বইও লিখেছে যা বাংলায় পাওয়া যায়। 


সে অন্য দেশের হয়েও এতো এতো বই বাংলা ভাষায় অনুবাদ পাওয়া যাচ্ছে, তবে হয়তো আপনি তাকে জানেনও না। তার বই এর লেখা ভালো হতে পারে। তবে আপনি যদি তার ছাত্রছাত্রীদের দেখেন যখন সে কুরআন, হাদিসের দারস দিচ্ছে তখন আপনি হয়তো আস্তাগফিরুল্লাহ ও আরো বেশি এস্তেগফার পড়া শুরু করবেন। তার বই পড়া তো দূরে থাক, যতই ভালো লেখা হোক না কেন আপনি আর কখনো তা পড়তে চাইবেন না। হ্যা, সর্বশেষ যেটি বলতে চাই যে একজন ইসলামিক স্কলারও বটে মানুষের কাছে(কথিত)।


ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে যে রাসূলে করীম (সাঃ)- এর ইন্তেকালের পর ইমাম মাহদী হওয়ার দাবীদার বহুলোকের আবির্ভাব এই পৃথিবীতে ঘটেছে এবং ঘটছে। প্রকৃত মাহদীর আত্মপ্রকাশের পূর্বে বহুলোক মিথ্যা মাহদী সেজে মানুষের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে। এর মধ্যে (১) মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (২) সিরিয়ার এক বিভ্রান্ত যুবক (৩) বাংলাদেশের অন্তর্গত বরিশালের এক ভন্ড মাওলানা (৪) দক্ষিণ ইয়েমেনের একজন বস্ত্র ব্যবসায়ী (৫) ইরানের একজন শিয়া নেতা এবং (৬) ১৪০০ হিজরীর শুভলগ্নে পবিত্র কাবা গৃহ দখলকারী এক জুহায়মান নামধারী যুবক ভন্ড মাহদী রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিল।
কিন্তু তাদের কারোরই পরিণাম সুখের হয় নাই। মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী পায়খানায় পড়ে প্রাণ হারায়। সিরিয়ার বিভ্রান্ত যুবকটিকে বিষাক্ত বিচ্ছু কামড়িয়ে হত্যা করে। ভন্ড মাওলানাটি পেশাব পায়খানা চাটতে চাটতে মৃত্যু মুখে পতিত হয়। বস্ত্র ব্যবাসায়ীটি বন্য কুকুরের আক্রমনে মারা যায়। শিয়া নেতাটি গুলীবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে শোনা যায়। অনুরূপভাবে ভন্ড নবী দাবীদারগণের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ ও মর্মন্তুদ হয়েছিল। সুতরাং পৃথিবীর এই ক্রান্তিলগ্নে প্রকৃত মাহদীর পরিচয় জেনে রাখা প্রতিটি মুমীন বান্দার অবশ্য কর্তব্য।
তবে তারপরও আপনারা ভণ্ড দাবিদারদের ফিতনায় পড়তে পারেন।
________________________________________________________________

আমি আজকে যাকে নিয়ে আলোচনা করতেছি তার পরিচয়:

Adnan_oktar_03

নাম : هارون يحيى‎ / হারুন ইয়াহইয়া ( Harun Yayha)
অন্যনাম : আদনান ওকতার ( Adnan Oktar)

জন্মসাল :২ রা ফেব্রুয়ারী, ১৯৫৬।
জন্মস্থান : আনকারা, তুরস্ক।
বর্তমান নিবাস : তুরস্ক।
পেশা : ধর্মীয় নেতা ( cult leader)
আরো বিস্তারিত দেখার জন্য : https://en.m.wikipedia.org/wiki/Adnan_Oktar

সে ভবিষতে ইমাম মাহ্দী দাবি করবে তবে সে হবে এক ভন্ড মাহদীর দাবীদার, ইতিহাসের মতোই। তবে তার এই দাবি খুবই আলোড়ন ফেলবে পুরো পৃথিবীতে আসা করা যায়। 
তিনি ইতি মধ্যে এই দাবি করেও ফেলেছেন তবে তা বেশি আলোচিত হচ্ছে না। তিনি জোরালো ভাবে এটি সামনে দাবি করার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে সব কিছুই করছেন। অনুসারী বাড়াচ্ছেন, হাদিসের অপব্যাখ্যা ও বিকৃতি ঘটাচ্ছেন। 

প্রথমে তার একটি ভিডিও দেখা যাক- https://youtube.com/watch?v=FKCi8cNbCHY

এখানে Peace TV এর লেকচারার জাকির নায়েক, হারুন ইয়াইয়া, অন্য একজন আলেম ও টিভি উপস্থাপক ছিলেন যাদের কথোপকথন ছিল নিম্নরূপ :

জাকির নায়েক : অনেক লোকের কাছে শুনেছি আপনি নাকি নিজেকে ইমাম মাহাদী হিসেবে দাবি করেন ? আমি বলছি না আপনি সত্যিই দাবি করেছেন, কারন আমি লোকের কাছে শুনেছি। আর আল্লাহ বলেছেন, যখন তুমি কোন কিছু লোকের মাধ্যমে শোন তুমি তা সত্যতা যাচাই করে দেখ।
হারুন ইয়াইয়া : আমি কখোনো নিজেকে এমন দাবি করিনি। যদি আমি এমন দাবি করি তবে আমার উপর আল্লাহ, ফেরেসতাকূল ও সকল মানুষের লানত।
(অন্য একজন আলেম কথাটিকে ঘুরিয়ে দেন এভাবে যে যাতে তারা তার ভাবনাকে উল্টো করে দেয়।)
অন্য আলেম : হারুন ইয়াইয়া এই দিক দিয়ে মাহাদী যে, সে মানুষকে হিদায়াহ বা সরল পথ প্রদর্শন করে। কারন, মাহাদী মানে যে মানুষকে হিদায়াহ দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে আমরা সবাইই মাহ্দী।


দ্বিতীয় এই টিভি শো দেখতে পাবেন যেখানে একজন দর্শক এর প্রশ্ন ছিল। আপনি তো নিজেকে মাহাদী হিসেবে দাবী করেন, তবে তা প্রমান করুন? 
একটি ভিডিও দেখা যাক- https://youtube.com/watch?v=78y89Q6dXQk
 
হারুন ইয়াহইয়া : তখন সে তা অস্বীকার করে এবং মাহাদী সম্পর্কে বিভিন্ন উদ্ভট কথা বলতে থাকে। আর এই টিভি শো তে কিছু অর্ধ উলঙ্গ নারী ছিল যাদের আচরণ ছিল পর্ণ তারকাদের মত।

তাহলে যেহেতু হারুন ইয়াহইয়া এখনো নিজেকে প্রত্যাক্ষ ইমাম মাহাদী হিসেবে পরিপূর্ণরূপে দাবি করেনি তবে কেন আমরা তাকে সন্দেহ করছি?
আর তার অনুসারী বেশি হওয়ার ব্যাপারেও কেন কথা বলছি?


মূলত ইলহামী ভবিষ্যতবাণী "কাসিদায় সওগাত" এর মতো আরেকটি কবিতা "আগামী কথন" যেটি ২০১৮ সালে খোঁজ পাওয়া যায় তাতে বলা হয়েছে এই ব্যাপারে। তাতে যা উল্লেখ ছিল-

 প্যারাঃ (১)
সূচনাতেই প্রশংসা তার,
যিনি সৃষ্টি করেছেন জমিন ও আকাশ।
অতিত থাক, আগামীর কিছু কথা,
আমি করিবো প্রকাশ।

প্যারাঃ (২)
বিংশ শতাব্দীর বিংশ সনে,
কিছু করে হের ফের।
প্রকাশ ঘটিবে ভন্ড ''মাহাদী''
ভুখন্ড তুরষ্কের।

প্যারাঃ (৩)
স্বপ্ত বর্ণে নামের মালা,
''হা'' দিয়ে শুরু তার,
খতমে থাকিবে ''ইয়া" - সে,
"মাহাদী" র মিথ্যা দাবিদার।

ব্যাখ্যাঃ ২ ও ৩ নং প্যারাঃ
(২) নং
লেখক তার ভবিৎষত বাণীতে বর্ণনা করেছেন,
২০২০ সালের কিছু সময় হের ফের করে- (হতে পারে তা ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে শুরু করে ২০২১ সালের শেষ সময় পর্যন্ত। আল্লাহ আলিম)। এ সময়ের মধ্যেই একজন ভন্ড নিজেকে "ইমাম মাহদী" বলে দাবি করবে। সেই ভন্ড তুরষ্ক ভুখন্ডের অধিবাসী হবে।


(৩) নং
তার নাম আরবিতে ৭ টি হরফেতে হবে। যার প্রথম হরফ টি হবে "হা" এবং শেষের হরফ টি হবে "ইয়া"।
আর সেই ব্যাক্তিটি যদিও নিজেকে "ইমাম মাহদী" বলে দাবী করবে, প্রকৃত পক্ষে সে হলো একজন মিথ্যুক, জালিয়াত, প্রতারক, শয়তান। সে প্রকৃত ইমাম মাহদী নয়।

প্যারাঃ (৪)
বাংলা ভূমির দ্বীনের সেনারা,
করিবে মিথ্যার প্রতিবাদ।
জালিমের ভূখন্ড হয়েছিল দু' ভাগ,
সত্য ভাগে হবে ভন্ড বরবাদ।

ব্যাখ্যাঃ
"বাংলা ভূমির দ্বীনের সেনা" বলতে লেখক (আস-শাহারান) বাংলাদেশের ঈমানদার নির্ভিকদের বুঝিয়েছেন।
"করিবে মিথ্যার প্রতিবাদ" বলতে লেখক (আশ-শাহরান) বুঝিয়েছেন যে সেই ভন্ড যখন নিজেকে "ইমাম মাহাদী" বলে দাবি করবে তখন তারা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাবে।
"জালিমের ভূখন্ড হয়েছিল দু' ভাগ" বলতে লেখক বুঝিয়েছেন যে কোন এক জালিম ভূখন্ড বিভক্ত হয়ে এক ভাগ সত্য দ্বীন কায়েম ছিল - সেই ভাগের দ্বারাই সেই ভন্ড "মাহাদী" র ধ্বংস হবে।
আর সেই জালিমের ভূখন্ড টি হলো "বর্তমান ভারত" যা ইতিপূর্বে বিভক্ত হয়ে "পাকিস্তান" হয়। আর পাকিস্তানে আল্লাহর দ্বীন কায়েম ছিল।
সুতরাং, বোঝা যাচ্ছে যে সেই ভন্ড "মাহাদী" কে পাকিস্তানের মুমিন সেনারা হত্যা করবে।



১. আগামী কথন অনুসারে ২০২০ সাল বা তার কিছু আগে পরে ভন্ড মাহাদী প্রকাশ পাবে। এখনো ভন্ড ইমাম মাহাদী হিসেবে পরিপূর্ণ রূপে প্রকাশ পায় নি।
২. আরবি সপ্ত বর্ণ নামের মালা । হারুন ইয়াহইয়া ৭ টি বর্ণে নাম
هارون يحيى‎
৩. "হা" দিয়ে নামের শুরু এবং শেষে "ইয়া"।
৪. মাহাদীর হিসেবে দাবি করবে যা এখনো সরাসরি করেনি। তবে অতি শীঘ্রই করবে ইনশাআল্লাহ।

হারুন ইয়াইয়া এখনো মিডিয়ার সামনে নিজেকে মাহাদী হিসেবে দাবি করেনি তবে, মিডিয়ার আড়ালে নিজেকে মাহাদী হিসেবে দাবি করে। যার কারনে মানুষ তাকে প্রশ্ন করে আপনি নাকি নিজেকে ইমাম মাহাদী হিসেবে দাবি করেন।

সে নামে ইসলামেরে পথে চললেও তার উদ্দেশ্য অন্যকিছু।
১. সে চায় সকল ধর্মকে এক করতে। যা আসল ইমাম মাহ্দী এর বিপরীত কাজ।
২. ইমাম মাহ্দী নিয়ে ভুল তথ্য এবং ভুল হাদিস ও ভুল ব্যাখ্যা প্রদান।

উপরের আগের ভিডিওতে দেখতে পাবেন হারুন ইয়াইয়া বলেছে ২০২০ বা ২০২১ সালের দিকে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে ও ইমাম মাহাদী আগমন করবে। আর ইমাম মাহাদী সমস্ত মানুষকে একত্রিত করবেন। ( আর তিনি প্রকাশ করেননি, তবে বুঝাতে চেয়েছেন যে, সেই মাহাদী তিনি নিজেই। এবং তিনি মুসলিম, খৃষ্টান ও ইহুদী ধর্মের সমস্ত লোককে একত্রিত করবেন)
যার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
A CALL FOR UNITY
For the entire World.
এটা শুধুমাত্র মুসলিম দের জন্য নয়। হারুন ইয়াইয়া মুসলিম, খৃষ্টান ও ইয়াহুদীদের একত্র করবেন। যা একজন ভন্ড মাহাদীর বৈশিষ্ট। যেখানে সত্যিকারের মাহাদী আসবেন শুধু মাত্র মুসলীমদের জন্য।
এই ওয়েবসাইটে আরো বিস্তারিত পাবেন।
সাইট- https://www.callforunity.org/

ফেইসবুক থেকেও সে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে তার অফিসিয়াল পেজ থেকে- 

সে এই বিষয়ে বই লিখেছে।
"A Call for Unity" can be read & downloaded for free. 
দেখুন- 

আর এই রকম একটা প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যেমে আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি যে সে অতিশীঘ্রই নিজেকে মাহাদী হিসেবে দাবি করবে।

তার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ইসলামিক বই দেওয়া আছে তার লিখিত এবং অনেকগুলোর অপব্যাখ্যা সহ।
http://harun-yahya.net
https://www.harunyahya.com

সে যা করছে তা থেকে স্পষ্টই বুঝা যায় এ ব্যাপারটি। 
সর্বপ্রথম হাদিসের অপব্যাখ্যা ও বিভিন্ন উদ্ভট তথ্য মাহ্দী নিয়ে-

একাত্মতায় একত্রিত হওয়া জরুরী; অন্য কথায়, মাহদী আন্দোলনের চেতনায়- https://www.facebook.com/harunyahyaworks/posts/10159012947138268

ইমাম মাহ্দী নাকি তুরস্ক এর ইস্তাম্বুল থেকে আত্মপ্রকাশ করবে - https://www.facebook.com/harunyahyaworks/posts/10158824663683268

২০২০-২০২১ দশকে কি হবে সেটি নিয়ে আলোচনা করছেন- https://www.facebook.com/www.HarunYahya.Tv/posts/3091854727491809

ইসলামে সমকামিতা নিষেধ এই নিয়ে তার ছাত্র ও উলঙ্গ ছাত্রীদের দারস দেওয়ার ভিডিও- https://www.facebook.com/harunyahyaworks/videos/1125539864307903/

আল্লাহর ভয় নিয়ে দারস দিচ্ছেন তার ছাত্রীদের- https://www.facebook.com/harunyahyaworks/videos/1066413413553882/

মাহ্দী আগমনের ব্যাপারে আবারো আলোনা করছেন তিনি তার উলঙ্গ অনুসারীদে কাছে- https://www.facebook.com/harunyahyaworks/videos/1129538653908024/

হারুন ইয়াইয়া এর চরিত্র : এই সম্পর্কে আর বেশি কিছু বলতে চাই না নিচের ভিডিও গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন।
https://youtube.com/watch?v=EuJ51beGSyA
https://youtube.com/watch?v=GX59q3A9fUU
https://youtube.com/watch?v=J7fCLYWuK7I

আর এমন খারাপ চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি কখোনো সত্য মাহাদী হতে পারে না।
যেহেতু হারুন ইয়াহইয়া যে কোন সময় মাহাদী হিসেবে ঘোষনা দিতে পারে তাই তার কর্মকান্ডের ওপর নজর রাখতে হারুন ইয়াহইয়া এর ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখতে পারেন।
আর সে মারা যাবে পাকিস্তানের হাতে। এমনটাই বলা হয়েছে ইলহামী ভবিষ্যতবাণী কবিতায় যা আগেই বলা হয়েছে।
সে হয়তো বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করবে। এবং পাকিস্তানে যেয়েও হত্যা হতে পারে। আল্লাহু 'আলাম।

কেন আমরা তাকে সন্দেহ করছি?
১. কারন আগামী কথনের যে বৈশিষ্ট গুলোর কথা বলা আছে তার সাথে হারুন ইয়াহইয়া এর মিল রয়েছে।
২. হারুন ইয়াহইয়া এখন এমন কাজ করছে যা দ্বারা বোঝা যায় অতিশীঘ্র তিনি নিজেকে মাহাদী হিসেবে দাবি করবে।

আর সেই সাল ও বলা যায় ২০-২১ এর মধ্যেই। যা তিনি নিজেই বলে আসতেছেন। আর আগামী কথনেও একই ইঙ্গিত আসছে

আর মানুষ ভাবছে যে এই বছরে আসল ইমাম মাহ্দীই চলে আসবেন। কারণ হিসেবে তারা দেখছে মহামারী, বিভিন্ন ফিতনা, মুসলিম অত্যাচার বেড়ে গেছে ইত্যাদি। 

তবে আসল মাহ্দী কবে আসবে সে নিয়ে আমি পরের আলোচনায় ব্যাখ্যা করবো তবে কিছু জিনিস এই আলোচনাতেই জানিয়ে রাখতে চাই যাতে আপনারা ফিতনায় না পড়েন। 
কিছু জিনিস আপনি মাথায় হিসাবে রাখলে এই ফিতনায় পড়বেন ন


পৃথিবীর অবস্থা: 
----------------
মানুষ হাদিসের চেয়ে বেশি জামানার অবস্থা দেখে আজকাল সব কিছু নির্ণয় করছে। আমাদের নবী (স:) এর জন্ম ও মৃত্যুও কিন্তু কেয়ামতের ছোট আলামত ছিল। তবে আজ ১৪৪১ হিজরী চলে। কিন্তু শেষের দিকের ফিতনা গুলো তাসবীহ এর দানা এর মতো ঝরতে থাকবে এটাও সত্য। 

শুধু একটি হাদিস আপনারা মনে রাখবেন, বেশি গভীর জ্ঞান দরকার নেই।

হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের নিকটবর্তী সময়ে দুই ধরনের মৃত্যু দেখা দিবে। লাল মৃত্যু ও শ্বেত মৃত্যু। হঠাৎ হঠাৎ লাল ও রক্তবর্ণ বিশিষ্ট পঙ্গপালের প্রাদুর্ভাব দেখা দিবে। আর লাল মৃত্যু হল তরবারি(যুদ্ধের) দ্বারা মৃত্যু ও শ্বেত মৃত্যু হল প্লেগ, মহামারী দ্বারা মৃত্যু "।
(কিতাবুল ইরশাদ, পৃষ্ঠা - ৪০৫, গাইবাত, পৃষ্ঠা - ২৭৭, আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা - ১৮৮)

ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বে দুই ধরনের মৃত্যু দেখা যাবে। ১, শ্বেত মৃত্যু। ২,লাল মৃত্যু। শ্বেত মৃত্যু (দুর্ভিক্ষের কারনে মৃত্যু) হল মহান মৃত্যু। আর লাল মৃত্যু হল তরবারি (যুদ্ধের) কারনে মৃত্যু। (হাদিস বড় হওয়ায় সম্পূর্ণ হাদিস উল্লেখ করা হয়নি)

(বিহারুল আনোয়ার, খন্ড - ৫২, পৃষ্ঠা - ১১৯,  বিশারাতুল ইসলাম, পৃষ্ঠা - ১৫০,  মুন্তাখাবুল আসার, পৃষ্ঠা - ৪২৫,  মুজ'আম আল হাদিস আল ইমাম আল মাহদী, খন্ড - ৩, পৃষ্ঠা - ৪৭২)

শ্বেত মৃত্যুঃ পঙ্গ পাল মহামারি বিভিন্ন রোগে মৃত্যু, অনাহারে মৃত্যু।
(ইতিমদ্ধে ডেঙ্গু , করনো ভাইরাস ভয়াবহ অবস্থা মানুষ দেখছে, আর সামনে লাল মৃত্যু অপেক্ষা করছে)

লাল মৃত্যুঃ বিভিন্ন দেশে লাল মৃত্যু মানে যুদ্ধে নিহত হওয়ার মৃত্যু দেখা দিয়েছে। সামনে আছে - ফুরাতের যুদ্ধ / তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ সহ কিছু যুদ্ধ।


আবু বাসির – ইমাম সাদিক (আঃ) বলেছেন যে পর্যন্ত দুই তৃতীয়াংশ মানুষ ধ্বংস না হবে সে পর্যন্ত ইমাম মাহদির আবির্ভাব হবেনা।
আমি (আবু বাসির) জিজ্ঞাসা করলাম, মানবজাতির এত বড় অংশ শেষ হয়ে গেলে কে ই বা বেঁচে থাকবে? তিনি বলেন – এক তৃতীয়াংশের মধ্যে থাকতে কি তোমরা (মুসলমান) পছন্দ করোনা?
(সংগ্রহ - ইমাম মাহদী (আঃ) এর আত্মপ্রকাশ (আসরে যুহুর)
লেখক -আল্লামা আলী আল কুরানী
অনুবাদক - মুহাম্মদ মুনির হসেন খান
প্রকাশকাল- ফেব্রুয়ারি ২০০৮)

আবু বাসির ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণনা করেছেন : “ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন : “যে পর্যন্ত দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ধ্বংস না হবে সে পর্যন্ত এ বিষয়টি (ইমাম মাহ্দীর আবির্ভাব) বাস্তবায়িত হবে না ।” আমি (আবু বসীর) তখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম : মানব জাতির দুই-তৃতীয়াংশ যখন ধ্বংস হয়ে যাবে তখন আর কে-ই বা বেঁচে থাকবে? তিনি বললেন : মানব জাতির এক-তৃতীয়াংশের মধ্যে থাকতে কি তোমরা (মুসলমানরা) পছন্দ কর না?”
(প্রাগুক্ত, পৃ. ১১) 

ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন : “আল কায়েমের আবির্ভাবের আগে দু’ধরনের মৃত্যু থাকবে । একটি লাল মৃত্যু এবং অন্যটি শ্বেত মৃত্যু । (অবস্থা এমন হবে যে) প্রতি সাত জনের মধ্যে পাঁচ জনই প্রাণ হারাবে ।”
(প্রাগুক্ত, ৫২তম খণ্ড, পৃ. ২০৭)
গানিতিক ভাবেই আপনি এই হাদিসগুলোকে মিলাবেন জামানার সাথে।  বিশ্বের ৩ ভাগের ২ ভাগ মানুষ মারা যাবে। এখন পৃথিবীতে কত মানুষ আছে তা জেনে নিতে হবে। এবং, তারপর ৩ দ্বারা ভাগ করতে হবে। তো যত সংখ্যা দেখায় তত মানুষ অবশিষ্ট থাকলে আপনি বুঝবেন যে মাহ্দী এর আসার সময় হয়ে গেছে। এর আগে না।
২০১৯ মতে ৭৭০ কোটি মানুষ আছে। যখন দেখবেন ৩ ভাগের ২ ভাগ নেই অর্থাৎ, ২৫৬ কোটি মানুষ হবে পৃথিবীতে তখন ভাববেন যে মাহ্দী এর আসার সময় হয়েছে। ঠিক এটাই হবে।
এর আগে যদি বলেন যে মাহ্দী এসে পড়বে তাহলে হাদিসের বিপরীত হবে, যা কখনোই হবার নয়। হাদিস বাস্তবায়িত হবেই।

মাহদীর পরিচয়:
-----------------
ইমাম মাহ্দী এর আসল নাম হবে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ। তার জন্ম আরবেই হবে এবং সেখানেই তার আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
এই নাম ছাড়া, স্থান ছাড়া অন্য কেউ দাবি করলে আপনারা তাকে অবশ্যই মিথ্যুক ও ভন্ড ভাববেন।

আর মাহ্দী নিজেও জানবেনা যে সে নিজেই মাহ্দী। তাকে জোর করে নেতৃত্ব নিতে বলা হবে এবং ৩১৩ জন হবে যারা প্রথমে জোর করে বায়াত নিবে। আর তারা হবে সে সময়ের সব চেয়ে বেশি ঈমানদার। 
এই হাদিস আপনারা আগে থেকেই শুনে আসছেন। তবে একটা জিনিস জানানো দরকার সেটা হচ্ছে এই দল যারা মাহদীকে চিনবে বা হাদিস মতে চিনে ফেলবে তারা বিশেষ দল হবে। এরা সাধারণ হাজি বা মানুষ হবে না যে দেখা মাত্র চিনে ফেলতে পারবে। যারা চিনবে তারা কারা হবে এটা জানলেও এটি রহস্যই থেকে যাক। তবে হাদিস মতে তা খুঁজেও বের করা যায় যে তারা কারা হবেন। 


এখানে মাঝে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন মাওলানা মুফতী মোহাম্মদ তাহির মাসউদ তা এই যে,

"সে সময় ইমাম মাহদী মনোয়ারাতেই অবস্থান করবেন। মানুষের অন্তরে এ দাবী জাগ্রত হবে যে, এখন ইমাম মাহদীর অন্বেষণ একান্ত প্রয়োজন। তাঁর হাতে ইমামতের শপথ গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। সে কালের সৎলোক, ওলী, আবদাল সকলেই ইমাম মাহদীর অনুসন্ধানে ব্যস্ত থাকবে। এ সুযোগে কিছু ভন্ড, প্রতারক ইমাম মাহদী হওয়ার মিথ্যা দাবীদারের উদ্ভব হবে। জনগণ ইমাম মাহদীকে ইমাম ও হাকিম বানানোর চিন্তায় ও প্রচেষ্টায় রত দেখে ইমাম মাহদী আত্মগোপন অবস্থায় মক্কায় প্রস্থান করবেন। একদা বাইতুল্লাহ শরীফ তওয়াফরত অবস্থায় হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহীমের মাঝখানে "কতিপয় বিশেষ ব্যক্তি" তাঁকে চিনে ফেলবেন ও তাঁকে ঘিরে ধরে ইমাম ও শাসক মেনে সকলে তাঁর হাতে আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করবেন। ঐ শপথ অনুষ্ঠানের সময় উপস্থিত সকলে আসমান হতে আগত একটি ধ্বনি শুনবে যে, এ ব্যক্তি ইমাম মাহদী, যিনি আল্লাহ পাকের মনোনীত খলিফা এবং জনগণের শাসক। যখন তাঁর বাইয়াতের বার্তা প্রচারিত হবে তখন মদীনা শরীফে সমবেত সেনাদল মক্কা মুকাররমায় এসে একত্রিত হবে। শাম, ইরাক এবং ইয়ামানের সকল ওলি আল্লাহ, কুতুব, আবদাল তাঁর খেদমতে হাজির হয়ে বাইয়্যাত হবেন তথা আনুগত্যের ঘোষণা দিবেন।"

এই কতিপয় বিশেষ ব্যক্তি কারা হবেন তা নিয়েও একটি বড় আলোচনা করা দরকার। ইনশাল্লাহ সুযোগ হলে করবো।

তো, ইমাম মাহদি ২০২০ সালে আসবেন বলে যারা বলছেন, তাদের উচিত আগে হাদিসে কি বলেছে তা খেয়াল করা। এর কারনেই ভণ্ড মাহদি হারুন ইয়াহইয়া এর অনুসারী বেশি হবে।

যদিও ইমাম মাহ্দী আগমনের যেসকল আলামত আছে তার মধ্যে একটি আলামত ২০২০ সালে এবং ২০২৮ সালের সাথে মিলে যায়আর ইমাম মাহ্দী যে বছর প্রকাশ হবে সে বছর এই আলামতটি অবশ্যই মিলতে হবে হাদিস মতে
তা হচ্ছে যে, প্রথম রমজান ও ধ্য রমজান শুক্রবার হবে। 
টি ২০২০ সালের রমজান ও ২০২সালের রমজান মাসেই সম্ভব। এছাড়া ২০২০ সালে আর কোন আলামত বহন করবে না।
বে আগমনের আসল সালটি আগামি আলোচনায় ব্যাখ্যা করবো।

আর আগামী কথন, কাসিদায় সওগাতে যা বলা আছে তা আসলেই বাস্তবায়িত হতে দেখবে মানুষ।


পরবর্তী আলোচনায় আমি ব্যাখ্যা করবো যে ইমাম মাহ্দী কবে নাগাদ আত্মপ্রকাশ করতে পারে এবং যে সকল সাল মানুষ উল্লেখ করে সেগুলো কোন কারণে করে, সেই সালগুলোতে কি কি আলামত আছে এবং এই নিয়ে সকল মতোবিরোধ নিরসন করার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ


Bottom Ad [Post Page]